গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ২নং ওয়ার্ডের সদ্য বিএনপির নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির সশস্ত্র হামলায় সাধারন সম্পাদক ও তার স্ত্রীসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।আহতরা হলেন, সলিম মিয়া, আমহাদ হোসেন, মিজান ও দুলালী বেগম।এরমধ্যে সলিম ও মিজানকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমজাদ এবং দুলালী বেগম কে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সকলেই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মিয়ার বাজারে কমিটিতে নাম অর্ন্তভূক্ত করন নিয়ে এঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, সম্প্রতি শ্রীরামপুর ২নং ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সভাপতি ও আমজাদ হোসেন সাধারন সম্পাদক এবং বেলাল হোসেন সাংগাঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তারা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করে। এতে সভাপতি শহিদুল ইসলাম দাপট দেখিয়ে একক ক্ষমতায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করেন। এতে সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সাংগাঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন বাধা দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সভাপতি শহিদুল ইসলাম তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।
এরইজের ধরে ঘটনার দিন সভাপতি শহিদুল ইসলাম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশিয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার দলবল নিয়ে সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী দুলালী বেগম সহ স্বজনদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রেজাউন্নবী লেবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এব্যাপারে উপজেলা নেতৃ্ৃন্দের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিবেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :