AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাদুল্লাপুরে শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি  বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু


সাদুল্লাপুরে শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি  বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

গাইবান্ধায় সাদুল্লাপুর উপজেলার কিশামত শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বঘোষিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদ মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত মাহমুদ মিয়া জয়েনপুর আদর্শ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিধি বহির্ভুতভাবে সভাপতির পদে অধুষ্ঠিত হয়ে স্বীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে  শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধসহ মাহমুদ মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছিলেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এই নিয়ে সম্প্রতি মাহামুদ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই আলোকে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হাবীবের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, সভাপতি মাহমুদ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ের অভিভাবক লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নোটিশ পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে জবাব দিতে বলা হলে গত ৬ এপ্রিল তারা স্ব-শরীরে হাজির হয়ে জাবাব দেন। এছাড়া অভিযোগকারীরাও তাদের অভিযোগের বিষয়ে মৌখিক ও লিখিত জবাব দিয়েছেন। তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মাহমুদ মিয়া জয়েনপুর আদর্শ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যার এম.পি.ও আইডি নং ঘ-৫৬৮৮৬০৫৬। একই সঙ্গে তিনি বিধি বর্হিভূতভাবে কিশামত শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির স্বঘোষিত সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের দুইজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরিণ, এমনকি বিদ্যালয়ের বাহিরের ব্যাপার নিয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন তিনি। অহেতুকভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীর বেতন-ভাতাও বন্ধ রাখার অভিযোগ আছে মাহমুদ মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া সভাপতি মাহমুদ মিয়ার আপন শ্যালক সহকারী শিক্ষক রেজোয়ানুর করিম নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের সৃষ্টি করছেন। 

একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মাহমুদ মিয়ার অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাদেরকে মামলা-হামলার হুমকি দেন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অভিযোগকারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে মাহামুদ মিয়া ও তার শ্যালক রেজোয়ানুর করিমের উপর ক্ষুদ্ধ শিক্ষক-অভিভাবক ও এলাকাবাসী। গত ৭ মে সভাপতি মাহমুদ মিয়ার সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়। এখন নতুন করে তিনি প্রধান শিক্ষক মো. তাজউদ্দিন আহম্মেদের যোগসাসে প্রচারণা ছাড়াই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। তারা বলেন, যেহেতু ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৭ এর উপধারা ২ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণির কেঊ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ কারণে মাহমুদ মিয়া যেন আর কোনভাবে সভাপতি হতে না পারেন সেজন্য শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!