AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পানির বোতলে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও অকটেন


Ekushey Sangbad
টি আই সানি, শ্রীপুর, গাজীপুর
০৫:২৩ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০২৩
পানির বোতলে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও অকটেন

বোতলে করে অকটেন—পেট্রোল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পথের মোড়ে মোড়ে দোকানে অকটেন—পেট্রোলের মত দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে বোতলে ভরেই। পেট্রোল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ খোলাবাজারে বেচাকেনা ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা, ঘটতে পারে অগ্নিকাণ্ড। ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে যানমালের। অথচ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বালানি।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা—ময়মনসিংহ সড়কের মাওনা স্টার ফিলিং ষ্টেশন, জৈনা ভাই ভাই ফিলিং ষ্টেশন, আহাম্মদ আলী ফিলিং ষ্টেশন, অবদার মোড়ে বাংলাদেশ ফিলিং ষ্টেশনে দেখা যায় যত্রতত্র পানির বোতলে বিক্রি করছে অকটেন—পেট্রোল। এবং উপজেলার প্রায় সব হাট বাজারে এবং সড়কের মোড়ে মোড়ে বোতলে করে বিক্রি হচ্ছে অতি দাহ্য জ্বালানি অকটেন ও পেট্রোল। এ ছাড়াও বিপদজনকভাবে পরিবহনের পাশাপাশি দোকানে দোকানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব দোকানের নেই কোনো লাইসেন্সও। এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন, মাওনা ইউনিয়ন, ২নং গাজীপুর ইউনিয়ন, রাজাবাড়ি ইউনিয়ন, গোসিংগা, প্রহলাদপুর, বরমী, কাওরাইদ ইউনিয়ন ও শ্রীপুর পৌর শহরের মোড়, পৌর বাজার, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, রেলগেইট এলাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে মুদি দোকান, এমনকি পানের দোকানেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনা চলছে। অনেক দোকানে মোটরসাইকেলের অকটেন ও পেট্রোল পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে। এসব জ্বালানি বিক্রিতে জড়িত ব্যবসায়ীদের অনিয়ম আর অভিযোগের শেষ নেই, মিনি ট্রাক অথবা পিকআপ ভ্যানে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে যায় দোকানে দোকানে। ট্রাক—পিকআপ ভ্যান থেকে ছুড়ে নিচে ফেলে দিয়ে নামানো হয় সিলিন্ডার। এতে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। লাভজনক হওয়ায় পেট্রোল—অকটেনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জ্বালানির ব্যবসা ক্রমে বাড়ছে।

 

জানা গেছে, ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না—এমন আইনের সুযোগ নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। কেউ কেউ প্রথমে বাসাবাড়ি বা গুদামে মজুত করছেন সিলিন্ডার, সেখান থেকে অল্প অল্প করে দোকানে এনে বিক্রি করছেন। যাতে ১০টির বেশি না দেখায়। বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলিন্ডার মজুত করতে হলেই অধিক নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। তবে তা মানছেন না খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।

 

কাওরাইদ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আহম্মদ আলী ও বরমী টু চকপাড়া সড়কের মুদি দোকানদার সবুজ মিয়া বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে লাইসেন্স লাগে, এটা আমার জানা ছিল না। অনেক দোকানদার বিক্রি করছে, তাই আমিও বিক্রি করছি। কারণ এখন তো আর সিলিন্ডার কিনতে দূরে যেতে হয় না, গাড়ি এসে দোকানে দিয়ে যায়।

 

গোসিংগা টু মাওনা সড়কে বোতলে ভরে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রেতা মিনহাজুল আবেদীন বলেন, বোতলে ভরে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি যে নিষিদ্ধ তা আমি জানি না। এভাবে সবাই বিক্রি করে তাই আমিও বিক্রি করছি।

 

ধনুয়া জসিম মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী সুজন বলেন, আমরাতো অনেকদিন ধরেই এভাবে বিক্রি করি। কখনও কেউ কিছু বলেনি। বললে আমরা বিক্রি করতাম না। অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা শাহ্ আলম বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য যে লাইসেন্স দরকার তা আমার জানা নেই।

 

পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধক্ষ্য মোঃ আবুল খায়ের  জানান, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যত্রতত্র অতি দাহ্য জ্বালানি বিক্রি হলেও এটা বন্ধ করতে কোন অভিযান নেই। এর ফলে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? দ্রুত এগুলো বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার যেহেতু দাহ্য পদার্থ, সেহেতু কেউ ট্রেড লাইসেন্সধারী গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রত্যয়নসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলোর ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যবসা করলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন বহির্ভূতভাবে যারা এই অতি দাহ্য জ্বালানি বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি

 

মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, অগ্নিনির্বাপণ আইনে এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। লাইসেন্সবিহীন গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ট.স.প্র/জাহা

Link copied!