তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি দিয়ে অবশেষে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নামল স্বস্তির বৃষ্টি। খরতাপে দগ্ধ জীবনে শ্রাবণের বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে কৃষকদের। সারাদেশের ন্যায় ভাঙ্গুড়ায় অনেক দিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ থাকার ফলে প্রাণিকুলে নেমে এসেছিল চরম বিপর্যয়।
দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড তাপদাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। কৃষকরা আমন ধান চাষবাদ ও পাট জাগ দেয়া নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে বয়স্ক ও শিশুদের কষ্ট। অবশেষে আজ সোমবার দুপুর একটার পর থেকে শুরু হয় কাঙ্খিত স্বস্তির বৃষ্টি।
এতে কর্মজীবী মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন তাপপ্রবাহ থাকার পর এই বৃষ্টির ছোঁয়ায় মুহূর্তেই মেতে উঠেন কৃষকরা। তীব্র রোদের জ্বালা জুড়াতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অনেককেই দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে। এ বৃষ্টির ফলে পাট, আমন ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফলের ব্যাপক উপকার হবে বলে কৃষকদের মনে উল্লাস।
ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকা উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রাম থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত করাতে আসা কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ভারি বর্ষণের প্রয়োজন। বৃষ্টি বেশি হলে সবচেয়ে লাভবান হবেন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন জাহান বলেন, এ সময়ের বৃষ্টির জন্য কৃষকরা অপেক্ষায় ছিলেন। সোমবার দুপুরের বৃষ্টিতে পাট, আমন ধান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফলের খুব উপকার হবে। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পাট জাগ বা পচন দেওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে আছে পাট চাষিরা। আবার চলতি বছরের আমন মৌসুমে তাদের পানির অভাব রয়েছে।
বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে এ সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :