মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিক্ষার্থীকে মারধর এবং বসতভিটা রক্ষার দাবিতে শিমুলিয়া রানীগাঁওয়ের সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন করেছে। কর্মসূচিটি শুক্রবার বিকেলে ৪টায় লৌহজং উপজেলার রানীগাঁও এলাকায় পদ্মার জেগে ওঠা চরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে রানীগাঁও গ্রামের কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং লৌহজং উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ কামাল হোসেন।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া-মাওয়া জোনের বন্দর কর্মকর্তা নেওয়াজ মোঃ খানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জেগে ওঠা চর, যা একসময় গ্রামের বসতভিটা ও কৃষি জমি ছিল, তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কাটে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পারলে প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত বন্দর কর্মকর্তা স্থানীয় দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন জানান, অভিযুক্ত বন্দর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে আগামী সোমবারের মধ্যে বন্দর কার্যালয় ঘেরাও করার হুশিয়ারি দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিমুলিয়া ঘাটে অবৈধ ইজারার নামে চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষদের হয়রানি বন্ধের দাবিও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরটি আগে রানীগাঁও গ্রামের হাজারো মানুষের বসত ও কৃষি কাজে ব্যবহৃত হতো। প্রায় ৪০ বছর আগে পদ্মার ভাঙনে গ্রামটি বিলীন হয়ে যায়। গত দুই বছর ধরে সেখানে নতুন চর জেগে ওঠে, যা দখলের জন্য বন্দর কর্মকর্তার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি, পোর্ট কর্মকর্তার বরখাস্ত এবং মালিকানাধীন জমি ও বসতভিটা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ড্রেজিং-বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

