ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের হাটশিরা বাজারের পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে পচা যাওয়া কলাগাছে ঝুলছে কলা। ঘটনা যাই ঘটুক না কেন পচে যাওয়া কলা গাছের মোচায় কলা ধরতে দেখে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে আসছেন এখানে। কলাগাছের মালিক ছফির উদ্দিনসহ অনেকেই এ দৃশ্য দেখে আল্লাহর অসীম মহিমার শুকরিয়া আদায় করছেন। ছফির উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের নাগপুর গ্রামে।
সরেজমিন হাটশিরা বাজারের পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, স্লোইসগেট সংলগ্ন নদের পাড়ে জীবিত বেশকিছু কলাগাছ রয়েছে। এদের মধ্যে একটি মরা কলাগাছ। যা পচে রোদে শুকিয়ে আছে। আর এই মরা গাছটি অর্ধেকের বেশি কাটা। সেই অর্ধেক মরা গাছেই ধরেছে কলার এই ছড়ি।
বিস্ময়কর এ মরা কলাগাছের ফল দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সকলেই গভীর মনোযোগ সহকারে অপলক দৃষ্টিতে তা দেখছেন। তাদের চোখকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার নদের পাড়ে নেমে কলাগাছ ও কলা ছুয়ে দেখছেন। অনেকেই নিজ মোবাইলে কলা গাছের ছবি ধারন করছেন। কেউবা কলাগাছ সামনে রেখে সেলফি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করছেন।
হাটশিরা বাজারের চা দোকানি এমদাদ বলেন, আমার দোকানের সাথেই কলাগাছ। মরাগাছে কলা অয় এইডা এই প্রথম দেখলাম। আল্লাহ সব পারেন। বিস্ময়কর এ দৃশ্য দেখার জন্য পার্শবর্তী গ্রাম লক্ষিপুর থেকে এসেছেন শামিম সরকার। তিনি বলেন, সত্যিই এটি আল্লাহর এক অনন্য নিদর্শন। মরা কলাগাছে কলা ধরবে আমরা কোনদিন কল্পনাও করিনাই।
নাগপুর গ্রামের শাহজাহান বলেন, এটি এক অবাক দৃশ্য। আল্লাহ সব পারেন, মরা গাছেও ফল দিতে পারেন আল্লাহ তা আমাদের দেখিয়েছেন। আমরা আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছি। বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। মরাগাছে আল্লাহ ফল দিতে পারেন এটি করে তিনি আমাদের দেখিয়েছেন তিনি সব পারেন। এটি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। এইজন্য আল্লাহর নিকট আমাদের শোকরিয়া আদায় করা উচিত।
কলাগাছের মালিক ছফির উদ্দিন জানান, তার বাগানের কলাগাছ এটি। গত দুমাস আগে ঝড়ে কলাগাছটি ভেঙে পড়ে। এরপর তিনি গাছটি অর্ধেকের বেশি কেটে ফেলেন। শুধু গোড়ার অংশ ছিল যা পচে গিয়েছিল। তিনি বলেন, মরাগাছে ফল হয় এইডা দেইখ্যা আমি অবাক। আমরা কোনসময় কল্পনা করতারিনা। আল্লাহ সব পারেন। এইজন্য আমরার শোকরিয়া আদায় করা উচিত। এই কলাগাছ দেহার জন্য প্রত্যেকদিন দুর থাইকা লোকজন আইতাছে।
একুশে সংবাদ/ত.ক.প্র/জাহা