মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের শমসেরনগর রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে এম. সাইফুর রহমান সড়কের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে শেষ হয়।
সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য হোসাইন আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার, সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল আহমদ প্রমুখ।
মোশাররফ রহমান বলেন, “গত সাত মাস ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের পদ স্থগিত রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ বারবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন।”
সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মামনুন চৌধুরীকে আমরা রাজপথের সৈনিক হিসেবে চিনি। ৫ আগস্টসহ বহু আন্দোলনে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তারা কখনো মাঠে ছিলেন না। এসি রুমে বসে রাজনীতি করলে কর্মীদের ত্যাগ বোঝা যায় না।”
সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর আনোয়ার বলেন, “আজকের বিক্ষোভের দায়ভার জেলা নেতৃত্বকেই নিতে হবে। মামনুনকে অসম্মান করা মানে পুরো জেলার আন্দোলন সংগ্রামী কর্মীদের অসম্মান করা। হাইব্রিড স্বার্থে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিলে ভবিষ্যতে কেউ রাজপথে প্রাণ বাজি দিয়ে আন্দোলনে নামবে না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মৌলভীবাজারে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হলেও সভাপতির দায়িত্ব সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ককে না দিয়ে সদস্য সচিব আহমেদ আহাদকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের সময় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের মতামত উপেক্ষা করে সদস্য সচিব এককভাবে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন, যা নেতাকর্মীদের ক্ষোভের কারণ হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ইসহাক আহমেদ মামনুন চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তার দলীয় পদ পুনর্বহালের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, “মামনুন চৌধুরী দলের একজন সাহসী রাজপথের সৈনিক। ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি অসংখ্য মামলার আসামি ও একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমি বর্তমানে একটি মিটিং-এ আছি, পরে এ বিষয়ে কথা বলব।”
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে