যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী বর্তমানে যুব মহিলা লীগ নেত্রী শেখ সাদিয়া মৌরিনের একাধিক সেক্স ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। দুই মিনিট আট সেকেন্ডের ভিডিওর পাশাপাশি আরো কয়েক নেত্রীর আপত্তিকরণ ছবি সামনে চলে এসেছে।
ইতিমধ্যে এসব ভিডিও ও ছবি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যশোরে রাজনৈতিকভাবে দাপিয়ে বেড়ানো এসব নেত্রীদের ভিডিও ও ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় এসব মেয়েরা দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেদের নেত্রী দাবি করলেও মূলত তারা একটি সিন্ডিকেটের সদস্য। এই সিন্ডিকেট বড় বড় ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করে। যশোরে তাদের তৎপরতা অনেকটা আলোচিত ‘পাপিয়া সিন্ডিকেটের’ মতো।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক বর্তমানে যশোর সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদিয়া মৌরিনের তিনটি ভিডিও সামনে চলে এসেছে। এছাড়া রেহেনা, এলিন ও প্রিয়ঙ্কা নামে আরো তিনজন ছাত্রলীগ ও যুবমহিলা লীগ নেত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ঘুরছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জোরে।
এদিকে, মৌরিনের ভিডিও ইস্যুতে যশোর কোতোয়ালি থাকায় আইসিটি আইনে মামলা করেছেন তিনি। মামলায় সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান শহিদ ও তাঁতিলীগ নেতা আনোয়ারুল কবীরকে আসামী করা হয়। এর প্রতিবাদে মৌরিনকে সদর উপজেলা যুবলীগ গত শনিবার যশোর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সদর উপজেলা যুবলীগের ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী। সমাবেশ থেকে মৌরিনকে আলোচিত পাপিয়ার সাথে তুলনা করা হয়।
বক্তারা বলেন, ‘যশোরে এক শীর্ষ নেতার ছত্রছায় ‘পাপিয়া সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। এই মৌরিন সেই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন। দ্রুত তাকে আটক করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ’
একুশে সংবাদ/ইম.সা/এস.আই