রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এক আসামি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া নিহত হন। পরে নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন, যা পরবর্তীতে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তের অগ্রগতিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায়, কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি তাদের সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে রয়েছে।
ডিসি তালেবুর রহমানের দাবি, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন সন্ধ্যায় ডিবির একটি দল পল্লবীর একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা কিল-ঘুষি মারায় তিনি আহত হন। পরে তার দেখানো মতে একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মোক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খাবারের জন্য ডাকলে তার কোনো সাড়া মেলেনি। পরে আবার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

