ঢাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সাতটি রাজনৈতিক দল একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দল। মিছিলের কারণে পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও প্রেসক্লাব এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়। অফিস ফেরত মানুষ বড় ভোগান্তির সম্মুখীন হন।
বিকাল প্রায় তিনটায় পুরানা পল্টন মোড়, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম গেট ও প্রেসক্লাবের সামনে একযোগে কর্মসূচি শুরু হয়। বায়তুল মোকাররম গেট থেকে শুরু হওয়া একটি মিছিল হাত-পাখার প্রতীকসহ পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে দৈনিক বাংলা মোড়ে পৌঁছে। পুলিশের নিরাপত্তার কারণে দুই পাশে রাস্তায় সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হলে এলাকা জুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তাদের দাবিতে জোর দিয়েছে—জুলাই সনদ কার্যকর করা, রাষ্ট্র সংস্কার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, এবং শহীদদের হত্যার দ্রুত বিচার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ওই দলসহ সাতটি রাজনৈতিক দল রাজধানীতে একযোগে বিক্ষোভের মাধ্যমে এসব দাবির কথা জানিয়েছিল।
বিক্ষোভের কারণে পল্টন, সচিবালয়, মতিঝিল, গুলিস্তান ও আশেপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। বিক্ষোভের আগে দলগুলো বায়তুল মোকাররম, প্রেসক্লাব ও আশেপাশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলে।
প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে, শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ হবে।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করছে। যদিও দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, প্রধান দাবিগুলো প্রায় অভিন্ন।
একুশে সংবাদ/এ.জে