দন্ত চিকিৎসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে এই প্রথম একদল অর্থোডন্টিস্ট দ্বারা পরিচালিত ক্লিয়ার এলাইনার ল্যাবের উদ্ভোদন হয় এক সেমিনারে। ল্যাবটি 3D aligner নামে তার যাত্রা শুরু করে। সেমিনারটিতে সারা বাংলাদেশের অসংখ্য অর্থোডন্টিস্ট নিয়ে বিশ্ব অর্থোডন্টিক্স স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয় এবং উদ্বোধন হয় 3D এলাইনার কোম্পানির।
দাঁত উঁচু নিচু আঁকা বাঁকা চিকিৎসায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ডা. ইসরাত মারুফা। তিনি অর্থোডন্টিক্স বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল বিভাবে কর্মরত আছেন।
তিনি একুশে সংবাদকে বলেন, দাঁত উঁচু নিচু আঁকা বাঁকা ফাকা চিকিৎসা বিশ্বব্যাপী অর্থোডন্টিস্টরা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের অনেক জনসাধারণ এই চিকিৎসায় অবগত নয়। ডেন্টালের এই বিভাগের ডাক্তার গন পোস্ট গ্রেজুয়েশন শেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগের কাজ গুলো সকল ডেন্টিস্ট করতে পারেনা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা না হলে, পরবর্তীতে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, এই চিকিৎসা সাধারণত দাতে ব্রেসের মাধমে করা হতো। ব্রেসের চিকিৎসার পাশাপাশি, এখন ক্লিয়ার এলাইনারে সচ্ছ থার্মোপ্লাস্টিকের মেটেরিয়ালের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। অবশ্যই এই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা অর্থোডন্টিস্টরা জনগণের দন্ত চিকিৎসায় কাজে লাগবেন। বাংলাদেশের দন্ত সেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই উদ্দ্যোগ, আমার বিশ্বাস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থোডন্টিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. গাজী শামিম হাসান। এ সময় 3D alingnar কে শুভেচ্ছা জানান এবং উৎসাহ প্রদান করেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. এম এ শিকদার সহ বাংলাদেশের অর্থোডন্টিক্স বিভাগের সুনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশে আরও এলাইনারের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠা প্রয়োজন। তাহলেই দেশের সকল জনসাধারণকে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধা দেয়া সম্ভব।
3D এলাইনারের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসরাত মারুফা দীর্ঘ দিন ধরে ক্লিয়ার এলাইনারের উপর কাজ করছেন। এই বিষয়ে অনেক গুলো ডিপ্লোমা করেছেন বিভিন্ন দেশে। তিনি বলেন, তার এই যাত্রায় সহযোগিতা করেছেন নেপালের বিশিষ্ট অর্থোড্নটিস্ট, কাঠমুন্ডু ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিকেল সাইন্স এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. দশরথ কাফলে। তিনি ঢাকা ডেন্টালের ফরেন কোঠায় বিডিএস পাশ করেছেন। তাই বাংলা ভাষা খুব ভালো বলেন এবং বুঝেন। বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডা ইসরাত মারুফাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। ক্লিয়ার এলাইনারের চিকিৎসা ব্যবস্থাটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারাই সারা বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে, তিনি এই স্বপ্নই দেখেন।
গতকালের এই অনুষ্ঠান সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছিল প্রশিক্ষণ কর্মশালা। প্রায় ৩০ জন অর্থোডন্টিস্ট হ্যান্ডস অনটি করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা ছিল প্রফেসর কাজি মেহেদীউল আলম ফাইন্ডেশন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :