ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রতিবেশিকে সঙ্গে নিয়ে নাজমুল হক (২২) নামে এক ব্যক্তির পায়ের রগ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে বিবাদী ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী ইতি আক্তার ফাতেমা।
অভিযুক্তরা হলেন, ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরা গ্রামের বাসিন্দা সবেদ আলী (৪৫), নাসির (৪০) ও মুক্তা আক্তার (৪০)। ভুক্তভোগী নাজমুল হক একই এলাকার বাসিন্দা ও প্রথম অভিযুক্ত সবেদ আলীর বড় ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, দুই নম্বর আসামির বাবার সঙ্গে ভুক্তভোগীর সৎ মায়ের অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে সৎ মায়ের সম্পর্কে বাবাকে অবহিত করেন তিনি। এতে বাবা ক্ষুব্ধ হন। এরই জেরে গত ৯ অক্টোবর সকালের দিকে ভুক্তভোগীকে অকথ্য গালিগালাজ করেন তার বাবা। একপর্যায়ে তিনি তাকে মারধর করেন। এ সময় দুই নম্বর আসামি এগিয়ে এসে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। তখন এক নম্বর আসামি একটি দা এনে ভুক্তভোগীর ডান পায়ের গোড়ালিতে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এতে তার পায়ের রগ কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটতে থাকে। ওই সময় তৃতীয় আসামি ভুক্তভোগীর শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠায়।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী ইতি আক্তার সীমা বলেন, আমার স্বামী আর স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবেন কি না সন্দেহ। আমি এর যথাযথ বিচার চাই।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :