AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছেন যে মানুষটি


Ekushey Sangbad
আলফাজ হোসেন আরবি,যবিপ্রবি প্রতিনিধি
০২:১২ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছেন যে মানুষটি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালে। দীর্ঘ ১৯ বছরের পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক দপ্তর কিংবা ছাত্র হল সব জায়গায় প্রতিদিন নিয়ম করে দেখা মেলে এক পরিচিত মুখের। তিনি রুহুল আমিন, যিনি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রতিদিন হাতে পত্রিকার বান্ডিল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে।

এখন তার বয়স সত্তরের কোঠায়। মাথার চুলে লেগেছে বয়সের রং, হাঁটায় এসেছে ক্লান্তি কিন্তু দায়িত্বের ক্ষেত্রে নেই কোনো বিরতি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়েই তিনি প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। হাতে থাকে গোছানো পত্রিকার বান্ডিল, যা তিনি একে একে পৌঁছে দেন অফিস, বিভাগ এবং শিক্ষকদের কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুধু দায়িত্বপালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। চার ছেলে ও দুই মেয়ের জনক রুহুল আমিন পরিবারেও একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক। বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার কাছ থেকেই পান আন্তরিকতা ও সম্মান। অনেকেই তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন, খোঁজ-খবর নেন।

পত্রিকা বিলির কাজ কেবল বিশ্ববিদ্যালয়েই সীমাবদ্ধ নয়। যবিপ্রবি ঘিরে থাকা আশপাশের এলাকাগুলোতেও তিনি নিয়মিতভাবে পত্রিকা পৌঁছে দেন। ব্যস্ততা যেমনই থাকুক, তার মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি।

রুহুল আমিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টা আমাকে নিজের ঘরের মতো লাগে। যতদিন সামর্থ্য আছে, ততদিন এই দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। সকালে পত্রিকা না দিলে আমার দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ লাগে। এখানে আসা আমার কাছে আনন্দের। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা আমাকে আরও উৎসাহ দেয়।”

তার নিষ্ঠা, নিয়মিততা ও পরিশ্রম আজ অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি নীরব, কিন্তু দৃঢ় এক শ্রমিকের প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো, ভবনের সংখ্যা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবই বদলেছে বহুবার—কিন্তু বদলায়নি তার প্রতিদিনের রুটিন।

প্রতিদিন সকালেই যবিপ্রবির প্রাঙ্গণে দেখা মেলে পত্রিকা হাতে, হাসিমাখা মুখে, দায়িত্ববোধে ভরা এই মানুষের। তিনি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এক নীরব, কিন্তু অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!