বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘২৮-এর আহ্বান, নিঃস্বার্থ হোক রক্তদান’ স্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বাকৃবি জোনাল পরিষদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন হলের কার্যকরী কমিটির সদস্য, বাঁধন রক্তদাতা সদস্য এবং সম্মানিত শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে র্যালিটি শুরু হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে. আর. মার্কেট প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামের সামনে এসে শেষ হয়।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম, শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক এবং বাঁধনের বিভিন্ন হল কমিটির সদস্য ও জোনাল প্রতিনিধিবৃন্দ। বাকৃবি জোনাল পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিমুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপকমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান রনি। অতঃপর উপস্থিত শিক্ষকমণ্ডলী তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে বাঁধনের মতো একটি সংগঠনের সক্রিয় উপস্থিতি অত্যন্ত গর্বের। রক্তদান একটি মহৎ কাজ, এবং আমি সকল ছাত্রছাত্রীকে আহ্বান জানাই তারা যেন নিঃস্বার্থভাবে এই মানবিক কাজে এগিয়ে আসে।
সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং উপদেষ্টামণ্ডলী বাঁধনকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সভায় উপস্থিত সকলের মধ্যে বাঁধন বিষয়ক একটি কুইজেরও আয়োজন করা হয়।
সভার সমাপনী বক্তব্যে বাকৃবি জোনাল পরিষদের সভাপতি, বাঁধনের বাকৃবি জোনের অন্তর্গত সকল হল ইউনিটের সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, `একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন`, এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে বাঁধন এর পথচলা শুরু। হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোতে থাকা সংঠনটি দেখতে দেখতে ২৮ টি বছর পেরিয়ে ২৯ বছরে পা দিল। এই দীর্ঘ ২৮ বছরে বাঁধন অসংখ্য মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সাক্ষী। প্রয়োজনে যেমন মানুষকে রক্তদান করেছে তেমনি জানিয়ে দিয়েছে তাদের মূল্যবান রক্তের গ্রুপ। ময়মনসিংহের মত থ্যালাসেমিয়া প্রবণ এলাকার মানুষের মুখে আশার আলো দেখিয়েছে বাঁধন। তাই তো ২৮ বছর পূর্তির প্রত্যয় ছিল `আটাশের আহ্বান, নিঃসার্থ হোক রক্তদান।` এই প্রত্যয়ের মাধ্যমেই বাঁধন স্বপ্ন দেখে একদিন দেশের প্রত্যেকটি মানুষ হয়ে উঠবে একেকটি বাঁধন সংগঠন। পরিশেষে জয় হোক মানবতার, ধ্বংস হোক বাঁধনের।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

