পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত স্নাতক লেভেল-১, সেমিস্টার-১-এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স কক্ষে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে।
ডিন কাউন্সিলের কনভেনর ও ওরিয়েন্টেশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. খোকন হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান ও ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে রজনীগন্ধা, আইডি কার্ড ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন। স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের সামনে চলার পথ সুগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় নবীন শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জামান মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি তুলে ধরেন।
ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। এখানে ভয়ভীতি নেই, র্যাগিং সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হয়েছে। ফলে তোমরা নিরাপদ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে।”
প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন,“তোমরা আজ নবীন ফুল হয়ে এসেছো, ভবিষ্যতে ফল হয়ে বের হবে। মুক্ত ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। কঠোর অধ্যবসায় আর মিথ্যা পরিহার করে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. খোকন হোসেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,"ভবিষ্যতের পথচলায় নৈতিকতা অবলম্বন করে এগিয়ে যাও, তাহলেই জীবনে সফলতা আসবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,"তোমাদের এবং অভিভাবকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় আমিও ভয় আর দ্বিধা নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজ আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই—যে কাজ করবে, মন দিয়ে করবে এবং সফল না হওয়া পর্যন্ত আঁকড়ে থাকবে। ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করো, তবে সেই জ্ঞান যেন দেশের কল্যাণে কাজে লাগে।”
উল্লেখ্য, সাধারণ গুচ্ছ পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই নবীনবরণে অংশগ্রহণ করেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে