ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিসিপ্লিনের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডাঃ আবু সাঈদ।
২০২৫–২০২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত "লিডিং ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাক্সিনোলজি এডুকেশন (লাইভ)" প্রোগ্রামে বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক ও মর্যাদাসম্পন্ন ইরাসমাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার্স ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ অর্জন করেছেন। এই স্কলারশিপের আওতায় তিনি স্পেন, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের তিনটি দেশে অবস্থিত পাঁচটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি এই দুই বছরে —Université Claude Bernard Lyon 1 (France), Universitat Autònoma de Barcelona (Spain),University of Barcelona (Spain), University of Antwerp (Belgium) এবং Université Jean Monnet Saint-Étienne (France) বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করবেন। ইতোমধ্যে তিনি স্পেনের শিক্ষাভিসা গ্রহণ করেছেন এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ইউরোপে যাত্রা করবেন। স্কলারশিপের আওতায় তার টিউশন ফি, মাসিক স্টাইপেন্ড, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যয়, স্বাস্থ্যবীমা এবং আবাসনসহ যাবতীয় খরচ পূর্ণরূপে বহন করা হবে।
লাইভ প্রোগ্রাম হলো দুই বছরের যৌথ ডিগ্রী /প্রোগ্রাম, যা শিক্ষার্থীদের ইমিউনোলজি, ইমিউনোপ্যাথোলজি, ইনফেক্টিওলজি, ভ্যাকসিন-লক্ষ্যিত রোগসমূহ, ভ্যাকসিনোলজি, এবং সংশ্লিষ্ট আইন, স্বাস্থ্য নীতি ও মানবিকতা বিষয়ে স্পেশাল এবং গভীরতর জ্ঞান প্রদান করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈজ্ঞানিক দক্ষতা ও বহুমাত্রিক জ্ঞান অর্জন করে ভ্যাকসিনোলজি ক্ষেত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মজীবন শুরু করার জন্য প্রস্তুত হন। তারা একাডেমিক গবেষণা, বৃহৎ ফার্মা কোম্পানি, ভ্যাকসিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অথবা পাবলিক হেলথ সংস্থায় কাজ করার সুযোগ পায়।
এ বিষয়ে ডাঃ আবু সাঈদ বলেন বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ইরাসমাস মুন্ডাসের মতো সম্মানজনক একটি স্কলারশিপ অর্জন করতে পেরে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। এটি আমার একাডেমিক জীবনের একটি বড় মাইলফলক এবং দেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ। আমি আশা করি এই অভিজ্ঞতা আমার ভবিষ্যতের গবেষণা, বিশেষ করে ভ্যাকসিন সায়েন্স, পাবলিক হেলথ এবং ওয়ান হেলথ ভিত্তিক নীতিনির্ধারণী উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি তার এই অর্জনকে মহান আল্লাহর অসীম কৃপা হিসেবে মূল্যায়ন করে তার পরিবার, শিক্ষক, সুপারিশকারী এবং সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।”
উল্লেখ্য, ইরাসমাস মুন্ডাস ইউরোপীয় কমিশনের একটি শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রাম, যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্যে শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা নির্বাচিত হন। এখানে একাডেমিক ফলাফল ছাড়াও গবেষণা দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা, সফট স্কিল ও হার্ড স্কিল এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতাকেও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।
সাঈদের এই সাফল্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
একুশে সংবাদ/এ.জে