শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন, উপ-উপাচার্য গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ববি উপাচার্য শুচিতা শরমিনের প্রশাসনিক অদক্ষতা, কর্তৃত্ববাদী মনোভাব, একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাচারিতা, ফ্যাসিবাদের দোসর এবং নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ২৮ দিন আন্দোলন করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্যের পাশাপাশি উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পবিপ্রবির অধ্যাপক মামুনুর রশিদকে কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা না হলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মামুনুর রশিদ দায়িত্ব পালন কালে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন।
এছাড়াও ফ্যাসিবাদী মহলে তার বিচরণ থাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। যে কারনে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে ধারণা ববি শিক্ষার্থীদের।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আওয়ামীপন্থি ডক্টর নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহর সাথে সখ্য থাকার প্রমাণ মিলেছে অধ্যাপক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লার বিরুদ্ধে ৪৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং প্রায় ৮০০ পেজের একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করেছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদেরকে কেন অপসারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা অবগত নই। মূলত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিসি বিরোধী আন্দোলন করেছেন।’
অন্তর্কোন্দল ও ফ্যাসিবাদি মহলে বিচরণের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন এগুলা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে