বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবীরকে ছাত্র পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে৷। তিনি ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার সঙ্গে একই শর্তে একই তারিখে প্রক্টরকে পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পরবর্তী সপ্তাহে লাইব্রেরী টিএসসিসহ দুইটি পদে একই শর্তে দুইজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ কিন্তু গত ২১ আগস্ট শুধুমাত্র তাকেই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তাকে অব্যহতি দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকে অবস্থান নেন।
প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহাগ রবি বলেন, আজকের এই মানবন্ধনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষকের পাশে রয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সত্যের পক্ষে রয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তারুণ্যের পক্ষে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই প্রশাসন ড.তারেক মাহমুদ আবির স্যারের বিরুদ্ধে করা অব্যহতি আদেশ ফিরিয়ে নিবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেওয়াজ শরীফ বলেন,তারেক মাহমুদ আবির স্যার শিক্ষার্থীদের সমস্যা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন৷ শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে পারে না৷ আমি আশা করি খুব শীঘ্রই অব্যহতি ফিরে নিবে প্রশাসন এবং আবির স্যারকে পুনরায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক পদে নিযুক্ত করা হোক৷ এর ব্যতয় ঘটলে আন্দোলন শুরু হবে৷
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক ড. তারেক মাহমুদ আবীর বলেন, অব্যহতির কয়েকদিন আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড.ছাদেকুল আরেফিন তাকে নিজ দপ্তরে ডেকে এনে জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একজন ব্যাক্তি একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরাও একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন বলে উপাচার্যকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান উপাচার্য মহোদয়ের আমলেই একই ব্যাক্তিকে দুইটি থেকে তিনটি দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার অব্যহতির পর যিনি বর্তমানে ছাত্র পরামর্শ কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনিও আরো কয়েকটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও আমাকে না জানিয়ে বা কোনো নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এভাবে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে চাইলে হলে তিনি যা সত্য তাই বলেছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন। এভাবে কাজ করতে গিয়ে হয়তো তিনি কারো বিরাগভাজন হয়েছেন বলেই তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/জ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :