অনুমতিবিহীনভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নাম ও লোগো ব্যবহার করা ফেসবুক পেজ/গ্রুপ বন্ধ না করলে সংশ্লিষ্ট এডমিন-মডারেটরের ছাত্রত্ব বা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই ফোরামের ১০৮তম সভায় (১৫ আগস্ট) গৃহীত সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। ফেক আইডি ও অপপ্রচার রোধে কেউ কেউ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বললেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদস্বরূপ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবির নাম ব্যবহার করে নতুন নামে ফেসবুক পেজ খুলছেন—যেমন “আমটতলা কলেজ”, “জগাহাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” ইত্যাদি।
পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রকিব হাসান রাফি ফেসবুকে লিখেন,“কিছু ফেক পেজের কারণে এভাবে সার্বজনীন নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা হরণের শামিল। এতে মৌলিক ও ইতিবাচক পেজগুলোর কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে নতুন করে ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
অন্যদিকে সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী সমালোচনায় বলেন, “নিজেদের কোনো অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল না রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ড বসিয়ে সব পেজ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাবলি, শিক্ষার্থীদের সমস্যা কিংবা এলামনাইদের সাফল্য শেয়ার করার জায়গা কোথায়? এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।”
অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হক বলেন, “একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্তটি অবাক করার মতো। ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে নানা কার্যক্রমে এসব পেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অথচ বিকল্প কোনো সমাধান না দিয়ে কেবল পেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আসলে অসম্পূর্ণ সমাধান।”
একুশে সংবাদ/এ.জে