বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা তরুণ সাংবাদিক মোঃ ইসমাইল হোসেন আজ সারা দেশের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, মানবতার সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন তিনি। তার দৃঢ় মনোবল, সাহসী পদক্ষেপ এবং সমাজের জন্য নিরলস কাজ এখন সবার কাছে আলোচনার বিষয়।
ইসমাইল হোসেন ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে জন্মগ্রহণ করেন কলিগাতী গ্রামে (বর্তমান আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া) এলাকায়। পিতা মোঃ আব্দুল লতীফ মোল্লা এবং মাতা মিলন বেগমের স্নেহে বেড়ে ওঠা ইসমাইল অল্প বয়সেই মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পায় ২০১৮ সালে, যখন তিনি আনন্দ টেলিভিশনে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতার জগতে প্রথম পদচারণা করেন। এরপর তিনি দৈনিক মানবজীবন, দৈনিক ভোরের পাতাসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী মিডিয়ায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এসএ টেলিভিশন-এ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইসমাইল থেমে থাকেননি। তিনি বুঝেছেন— সমাজে এখনও অসহায় মানুষ আছে, যাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা’,যার লক্ষ্য দেশের অসহায়, দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এই সংস্থা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় সাহায্য ও উন্নয়নমূলক কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সংবাদ পেশায় ও মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। আমি তাদের কথা বলতে চাই যারা তাদের কথা বলতে পারেনা, আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই যাদের পাশে দাঁড়ালে তারা একটু ভালো থাকবে।
তিনি আরও বলেন— আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকতা ও সমাজসেবার মাধ্যমে দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব। আমি চাই আমার কাজ দেখে দেশের তরুণরা অনুপ্রাণিত হোক। দৃষ্টান্ত স্থাপন করাই আমার লক্ষ্য।
ইসমাইল হোসেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন `দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার` পাশে দাঁড়ানোর জন্য, যাতে দেশের প্রতিটি অসহায় মানুষ ন্যূনতম অধিকার ও সেবা পেতে পারে। একইসাথে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন আল্লাহ তার স্বপ্ন পূরণ করেন এবং তিনি দেশ ও জাতির সেবায় আজীবন কাজ করতে পারেন।
তার এই মহৎ উদ্যোগ ও সাহসী পদক্ষেপ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অনেকেই বলছেন, ইসমাইল হোসেন শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি মানবতার সৈনিক, যিনি কলমের শক্তি দিয়ে যেমন সত্যের পক্ষে কথা বলছেন, তেমনি নিজের সাধ্যমতো সমাজ পরিবর্তনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
একুশে সংবাদ/এ.জে