AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুয়াকাটায় প্রাচীনতম নিদর্শন মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২১
কুয়াকাটায় প্রাচীনতম নিদর্শন মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পবিত্র এবং প্রাচীনতম নিদর্শন। এখানে একটি বড় গৌতম বুদ্ধের মুর্তি রয়েছে।

পটুয়াখালীর সাগরকণ্যা কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। 

কথিত আছে এই মূর্তিটি উপ মহাদেশে গৌতম বুদ্ধের সর্ব বৃহৎ মুর্তি। এটি রাখাইন সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয়। রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা এটিকে দেবতা মনে করে এবং উপাসনা করে। 

শতাধিক বছর আগে তখনকার সংখ্যা গুরু রাখাইন অধিবাসীদের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি ছিলেন মিশ্রি তালুকদার।

যার নাম অনুসারে এলাকাটির নাম করণ করা হয় মিশ্রিপাড়া। তারই উদ্দ্যোগে এবং আসাম থেকে আগত উনারতা মহাথের
এর অনুপ্রেরণায় তিনি উপমহাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানিয়েছেন মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার কর্তৃপক্ষ।

৩২ ফিট উচু এই বুদ্ধমূর্তিটি ততকালীন সময় বার্মা থেকে আগত ৫ জন ভাস্কর্য শিল্পী দ্বারা তৈরী করেন। এটি তৈরি করতে তাদের সময় লেগে ছিল প্রায় ৩০ মাস। এটির ওজন প্রায় ৭০ মণ।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, তখনকার পন্ডিতগন অনুধাবন করেছিলেন যে, এই অঞ্চল পানির নীচে বিলীন হতে পারে তাই এই সব বিপদ থেকে রক্ষা এবং ধর্মীয় শাসন বিদ্যমান রাখতে তিনি এই বৃহত্তম বৌদ্ধ মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন। 

এই মন্দির ও মুর্তিটিকে দেখার জন্য হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভীড় জমায়।

পর্যটক রিয়াজ আকন বলেন, 'কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি কয়েকবার কিন্তু এই প্রথম মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরে ঘুরতে এলাম। এখানে অনেক বছরের পুরনো একটি মুর্তি রয়েছে, পাশেই রয়েছে। সব মিলিয়ে জায়গাটি অসাধারণ।'

মন্দিরের গা ঘেঁষেই রয়েছে রাখাইনদের একটি পাড়া। সেখানে রাখাইনদের তৈরি কাপড় বুনানের দৃশ্য এবং তাদের জীবনযাত্রা। এখানে প্রতি বছর রাস পূর্ণিমা ও মাঘী পূর্ণিমায় উৎসব হয়ে থাকে।


একুশে সংবাদ/ম/আ

Link copied!