দ্বিতীয় দিনের খেলা ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দলটির লক্ষ্য ছিল ৫০০ রানের কোটা ছোঁয়া। তবে সেই আশা বেশি দূর এগোয়নি।
শুক্রবার সকালে দিনের তৃতীয় ওভারেই ইনিংসের ইতি ঘটে। আসিথা ফার্নান্দোর বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাহিদ রানা। ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন তিনি।
এই উইকেটের মাধ্যমে ৪৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। শেষ উইকেট পতনের আগে সকালে দলীয় সংগ্রহে যোগ হয় মাত্র ১১ রান।
গলে ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। এরপর চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৬৪ রানের দুর্দান্ত জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শান্ত ১৪৮ ও মুশফিক ১৬৩ রানের বিশাল বিশাল ইনিংস খেলেন।
শান্ত আউট হওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে ১৪৯ রানের জুটি করেন মুশফিক। ইনিংসের ১৪১তম ওভারে মুশফিক আউট হন। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটনও। ৯০ রানে আউট হয়ে টেস্টে আরও একটি সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। বল হাতে শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।
একুশে সংবাদ/ এ.জে