বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পরিচালকদের জরুরি সভায় ভোটের মাধ্যমে তাঁকে বোর্ডের ১৬তম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে বিসিবির কাউন্সিলর ও পরিচালক হিসেবে আমিনুল বুলবুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, যা তাঁর সভাপতির পথ অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়। একইসঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহা।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পান ফারুক আহমেদ। তবে তাঁর কার্যক্রমে বোর্ডের অসন্তোষ বাড়ছিল। গত বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, সরকার আর তাঁকে সভাপতি হিসেবে চায় না। কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ৮ পরিচালকের অনাস্থা তাঁকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে।
পরদিন রাতেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে এবং তার স্থানে আমিনুল বুলবুলকে মনোনয়ন দেয়। সে প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় বুলবুল পরিচালক এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হন।
সূত্রমতে, অক্টোবরের মধ্যে বিসিবির পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন আমিনুল বুলবুল। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বলেন, “সরকার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি গ্রহণ করেছি। তবে আমি দীর্ঘমেয়াদে বিসিবিতে থাকতে চাই না। আমার প্রাথমিক লক্ষ্য সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং একটি স্বচ্ছ ক্রিকেট প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা।”
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট দলের অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আইসিসির উন্নয়ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও ইমেজকে সামনে রেখে বিসিবিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় স্বল্প হলেও বুলবুলের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী বোর্ড যদি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে, তবে সেটি ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেবে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে।
একুশে সংবাদ / এ.জে