টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। বিশ্বকাপ খেলতে এখনো মাঠে নামেনি শান্তরা। কিন্তু মাঠে না নামলেও বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত সৌম্য সরকার। বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন এই টাইগার ওপেনার। স্বপ্ন দেখেন বৈশ্বিক মহাযজ্ঞের শিরোপা উল্লাসের। বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রচার করছে বিসিবি। আজ সোমবার ছিল সৌম্য সরকারের পর্ব। সেখানে তিনি জানালেন নিজের স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা। বললেন, বিশ্বকাপ খেলা গর্বের, স্মরণীয় কিছু দিতে চান দলকে।
সৌম্য বলেন, `খেলোয়াড় হিসেবে যেকোন বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।`
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে অনেক আশা সৌম্যর।এ প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসঙ্গে ছিলাম। দেখেছি সে (শান্ত) পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি, সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা; আশা করব, সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দেবে।’
সৌম্য যোগ করেন, ‘শান্ত নতুন অধিনায়ক, সাকিব (ভাই), রিয়াদ (ভাই) আছে, আমরাও অনেক দিন ধরে খেলছি। সবার অভিজ্ঞতাকে একসঙ্গে করে দল হিসেবে খেললে আশা করি আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’
বড় স্বপ্ন প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ সেমিফাইনাল বললে আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। তারপরে রেজাল্টের কথা আসবে। মাঠে ভালো খারাপের উপর ফল আসবে। খেলায় উত্থান-পতন, ভালো-খারাপ, হার-জিত থাকবে। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ মোট তিনটি ভেন্যুতে খেলবে বাংলাদেশ। টাইগারদের শিরোপা মিশন শুরু হবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে।
শান্ত বাহিনীর পরের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। তবে ১০ জুন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের আগে, এই মাঠে ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাকিব-রিয়াদরা অন্তত কিছুটা ধারণা নিয়ে, মাঠে নামার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টাউনের সেন্ট ভিনসেন্টে। কিংস্টাউনে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে, ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে নামবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :