টেস্টের পরিবর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে আরো বেশী দক্ষতা দেখিয়ে খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমেই ইংল্যান্ড ক্রিকেটে ইতোমধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছেন অধিনায়ক জস বাটলার।
তবে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব আসরে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা ধরে রাখতে পারলে ইংল্যান্ডের সিমিত ওভারের ক্রিকেটে কিংবদন্তী হিসেবে নিজের মর্যাদাকে আরো সুরক্ষিত করতে পারবেন বাটলার।
স্কুল জীবন থেকেই একজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হিসেবে দারুন সব শট খেলে খ্যাতি লাভ করা ৩৩ বছর বয়সি বাটলার এখন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সামারসেটে জন্মগ্রহনকারী বাটলার নিজের স্বাভাবিক ম্যাচের প্রতি বেশী মনোযোগি হওয়ায় টেস্ট ক্রিকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ভবিষ্যতেও রক্ষনশীল ব্যাটিংয়ে ফিরবেন কিনা তাও অনিশ্চিত।
তিনি উইকেট রক্ষক, নাকি নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন সেটি নিয়েও মাঝেমধ্যে অনিশ্চিয়তায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটে ভালোভাবে এগিয়ে যাবার কৃতিত্ব বাটলারের নিজের। তবে ১০০টি টেস্ট থেকে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি করে ভিন্ন একটি গল্পের জন্ম দিয়েছেন বাটলার। সেই তুলনায় চার নম্বরে বা আরো নীচে ব্যাট করে ওয়ানডে ফর্মেটের ক্রিকেটে ১১টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যাতে এটি প্রমানিত হয় ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি বেশী কার্যকর। তার সেঞ্চুরি করা ম্যাচগুলোর মধ্যে ৯টিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড দল।
সাদা বলের ক্রিকেটে ইংলিশ বিপ্লবের মুল চালক ইয়োইন মরগান। তিনি চলে যাওয়ার পর দায়িত্বের জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিলেন বাটলার। বেন স্টোকসের মতো বহুমুখি প্রতিভাধর তারকাদের উপর থেকে চাপ কমাতে বাটলারের অধিনায়কত্বের কোন বিকল্প নেই। দীর্ঘ ৭ বছর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা এই তারকা ইংল্যান্ডের হয়ে ১৪ টি ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
মরগান বলেন,‘ আমি যখন নেতৃত্বে ছিলাম তখন সহ-অধিনায়ক হিসেবে কল্পনাতীত ভালো দায়িত্ব পালন করেছেন বাটলার। পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশেষ এক নেতা। পুরো দলেই তার প্রতি দারুন সম্মানবোধ রয়েছে। ’
তবে স্কোয়াডের মধ্যে বাটলারের‘নীরব’ প্রভাব এখনো মরগান বা স্টোকসের মতো নয়। যদিও ৫০ ওভারের আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে ও ফিল্ডিংয়ের নিয়ন্ত্রন অধিনায়কদের সুযোগকে সংকুচিত করে ফেলেছে।
বাটলার বলেন,‘ স্কুলপর্যায়ে শান্তদের তুলনায় সরবরাই বেশী জনপ্রিয়। তাদের বন্ধুর সংখ্যাও বেশী থাকে। তবে যখন স্কুল ছেড়ে যান তখনই বুঝতে পারেন এর বোঝা কেমন। আমি এমন কিছু নেতার অধীনে খেলেছি, যারা সরব না হলেও বেশ প্রেরনাদায়ী।
এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপএল) খেলার কারণে সবকিছুই এখানে তার পরিচিত। ইতোমধ্যে তার নেতৃত্বেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছে ইংল্যান্ড।
একুশে সংবাদ/স ক