যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক, মনসিক আক্রমণসহ সিজিপিএ কমানোর হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে উক্ত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সজীব বৈদ্য`র বিরুদ্ধে। ৩০ নভেম্বর রাত দুইটায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনন্দ চন্দ্র বিএমই বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত।
এ বিষয়ে ৩০ নভেম্বর যবিপ্রবির বিএমই বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনন্দ চন্দ্র। ঘটনার যথাযথ বিচারের জন্য বিভাগ থেকে যবিপ্রবি প্রক্টরের নিকট প্রেরণ করে। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ৩০ নভেম্বর রাত আনুমানিক দুইটার দিকে বিএমই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সজীব বৈদ্য তাকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং নানা ধরনের হুমকি দেন। সিনিয়র ঐ ছাত্র তাকে `ছাত্রলীগের দোষর` আখ্যায়িত করে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা, সিজিপিএ কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী একটি কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ঐ কোচিং সেন্টারসংক্রান্ত একটি ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তার ওপর শারীরিক আক্রমণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সজীব বৈদ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনন্দ আমার কোচিংয়ে ক্লাস নিতো, তার সঙ্গে সম্প্রতি টাকা–পয়সা সম্পর্কিত একটি ঝামেলা তৈরি হয়েছে। আমাকে না জানিয়ে সে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছে। বিষয়টি জানতে পারার পর আমি তাকে জিজ্ঞেস করি—টিউশন হয়েছে, টাকা নিয়েছ, কিন্তু জানালে না কেন? কিন্তু এর বিপরীতে আনন্দ আমার ওপর অযথা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বলে আপনাকে কেনো জানাতে হবে।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি প্রক্টর ড. ইঞ্জি. ইমরান খান বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনেছি। দ্রুতই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ সাএ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

