ফুটবলের মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই মানেই বাড়তি উন্মাদনা। হোক সেটি প্রীতি ম্যাচ কিংবা বৈশ্বিক কোনো ইভেন্ট। ফুটবলের ইতিহাসে একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি লাতিন আমেরিকার দেশ দুটি। মাঠের বাইরে এবার দুই দলের গোলকিপারের মধ্যে চলছে এক অদৃশ্য লড়াই।
গত মৌসুমের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের ট্রফি ‘লেভ ইয়াসিন’ কার হাতে যাবে এ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কারো দৃষ্টিতে বিশ্বকাপজয়ী এমিলয়ানো মার্টিনেজ, আবার কেউ কেউ বলছেন ম্যানসিটির ট্রেবল জয়ের সাক্ষী ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনের ঝুলিতে যাবে।
মার্টিনেজ কিংবা এডারসন এদের দু’জন থেকেই যে সেরা বাছাই করতে হবে এমনটা নয়। ‘লেভ ইয়াসিন’ ট্রফি পাওয়ার দৌড়ে আছেন আরো বেশ কিছু তারকা গোলরক্ষক।
এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এসি মিলানের মাইক মাইগনান ও আর্সেনালের অ্যারন র্যামসডেলরা। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে এবারের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের তালিকায় জায়গা হয়নি লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের। খবর গোলডটকমের।
ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন বর্ষসেরা গোলরক্ষকদের ‘লেভ ইয়াসিন’ পুরস্কারের প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে যথারীতি জায়গা পেয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপে করেছেন দুর্দান্ত পারফর্ম, হয়েছিলেন সেরা গোলরক্ষকও। এছাড়াও তিনি হয়েছেন ফিফার বর্ষসেরার গোলরক্ষকও হয়েছেন। তাই ‘লেভ ইয়াসিন’ ট্রফি জয়ের দৌড়ে বেশ এগিয়ে থাকবেন এটা বলাই যায়।
এমিকে এ ট্রফি পেতে লড়াই করতে হবে গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ানগোলরক্ষক এডারসন মোয়ারেসের সঙ্গে। সিটিজেনদের ট্রেবল জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। তবে ব্রাজিলের জাতীয় দলে অ্যালিসন বেকার সেরা গোলরক্ষক হওয়ায় সেখানে পারফর্ম করার সুযোগ হয়ে উঠে না এডারসনের। এক্ষেত্রেই কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন তিনি বলা যায়।
প্রতি বছর ফ্রান্স ফুটবলের পক্ষ থেকে বছরের সেরা গোলরক্ষককে দেয়া হয় এই পুরস্কার। চলতি বছরের মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা হয়েছে ক্লাব এবং বিশ্বকাপের পারফর্ম্যান্স।
‘লেভ ইয়াসিন’ ট্রফিতে মনোনীত গোলরক্ষক
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, মাইক মাইগনান, থিবো কর্তোয়া, অ্যারন র্যামসডেল, ইয়াসিন বোনো, আন্দ্রে ওনানা, ডমিনিক লিভাকোভিচ, মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান, এডারসন মোয়ারেস, ব্রাইস সামবা।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :