মাঠ পর্যায়ে সরকারের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন ও জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ইউএনওদের হাতে। আর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে এম এ মুহাইমিন আল জিহানের মত একজন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কাছে পেয়ে মনোহরদী উপজেলাবাসী আজ গর্বিত। নিন্ম স্তর থেকে উচ্চ স্তর সর্ব স্তরে রয়েছে তার জয়গান। তিনি মনোহরদীতে যোগদানের পর সর্ব ক্ষেত্রে অমুল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৫ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হওয়া।
এম এ মুহাইমিন আল জিহান কর্মময় জীবনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। মনোহরদী বাসীকে হৃদয় থেকে ভালোবেসে সকলের কাছে আজ একজন ভাল ও উচ্চ মনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল শ্রেণী পেষার মানুষ সরাসরি একান্ত দেখা করার সুযোগ রয়েছে তার কাছে। যে কোন সমস্যায় তিনি গুরুত্বসহকারে সমাধানের চেষ্ঠা করেন বিধায় প্রতিনিয়ত তার দপ্তরে দেখা যায় দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক অসহায় মানুষ। পাশাপাশি তিনি উপজেলাবাসীর সম্মান রক্ষায় করেছেন সম্মান জনক কাজ। সবমিলিয়ে বদলে যাচ্ছে মনেহরদী উপজেলা প্রশাসনের চিত্র। মনোহরদী উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক চিত্র নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি সাথে কথা বলেছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধি,সাইফুল ইসলাম । পাঠকদের জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হল।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মুহাইমিন আল জিহান। যোগদানের এক বছরের মধ্যেই তিনি মনোহরদীতে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি নিজেকে শুধু একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয় বরং মনোহরদীর মানুষের অতি আপনজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
তিনি প্রায়ই প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ কৃষক, শ্রমিক ও দিন মজুরদের দোরগোড়ায় পৌঁছে তাদের দুঃখ কষ্ট ও অভাব অনটনের বিষয়ে তাদের কথা শুনেন এবং সহযোগিতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও তিনি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তার কর্মদক্ষতা, সহজ-সরল ব্যবহার ও আন্তরিকতায় উপজেলার সকল স্তরের মানুষের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
৩৫ তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালে মনোহরদীর ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি সততা, দক্ষতা ও সৃজনশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে মনোহরদীর সার্বিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জিং সময়েও তিনি নিষ্ঠা, সাহস ও পেশাগত সততার পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, সরকারি খাস জমি উদ্ধার, দখলদারিত্ব দমন, বিভিন্ন প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা—এসব ক্ষেত্রে তিনি এগিয়ে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন,
স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নেও তিনি নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।
তার নেতৃত্বে মনোহরদীতে গড়ে উঠছে একটি সুশাসন ও সেবাকেন্দ্রিক জনবান্ধব প্রশাসন।
মানবিক ইউএনও এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন,
“আমি বিশ্বাস করি কাজই পরিচয়ের মূল ভিত্তি। ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল। বিসিএস প্রশাসনে আসার পর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি হয়তো কোন একদিন এই উপজেলা ছাড়ব, কিন্তু আমার কাজ ও নিষ্ঠা যদি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে—সেটিই হবে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“সেবা নিতে আসা কাউকে যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার হতে না হয়—তা নিশ্চিত করতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরামহীন কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সহযোগিতা থাকলে এই লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব।”
তার মানবিকতা, সততা ও দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ইতোমধ্যে মনোহরদীবাসীর আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের জনসেবামুখী এই কার্যক্রম ভবিষ্যতের প্রশাসনের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে মনোহরদীবাসীর প্রত্যাশা।
একুশে সংবাদ/ সাএ
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
