যুক্তরাষ্ট্র আরও কমপক্ষে ৩০ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়— প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২-এ নিচ্ছে?
জবাবে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সংখ্যা বলবো না, তবে এটা ৩০টির বেশি হবে। প্রেসিডেন্ট আরও কয়েকটি দেশকে নিয়ে মূল্যায়ন করছেন।”
এর আগে চলতি বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি ও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। এতে অভিবাসী, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী—সব ধরনের ভ্রমণকারীই অন্তর্ভুক্ত।
নোয়েম বলেন, যেসব দেশে স্থিতিশীল সরকার নেই বা যেসব দেশ নিজেদের নাগরিকদের যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, “যদি তারা নিজেদের মানুষকেই শনাক্ত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেব?”
রয়টার্সের একটি পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একটি অভ্যন্তরীণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট নথিতে ৩৬টি দেশকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ করার প্রস্তাব উল্লেখ ছিল।
তালিকা সম্প্রসারণ হলে তা হবে সাম্প্রতিক একটি বড় অভিবাসন-সম্পর্কিত পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একজন আফগান নাগরিক জড়িত বলে তদন্তকারীরা জানায়। তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায়, যেখানে যথাযথ যাচাই হয়নি বলে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি।
ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন— তিনি “তৃতীয় বিশ্বের সকল দেশের” অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে চান। তবে তিনি কোন কোন দেশকে ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
এ ছাড়া ট্রাম্পের নির্দেশে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বাইডেন প্রশাসন আমলে অনুমোদিত আশ্রয়প্রার্থীদের মামলা এবং ১৯টি দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

