‘বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠন ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “বিএনপি আসলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়। আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড।”
এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধকরণের দাবি তুলেছেন। স্লোগানগুলো ছিল—“ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো”, “একটা একটা লীগ লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর”, “খুনি লীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না” ,“আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে?”, “গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী”, “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা” ।
শাহবাগের সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেকে বলেন, এটি নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। তাঁরা ফ্যাসিবাদ, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দলীয়করণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছেন।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিন্টো রোডের সমাবেশস্থল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, “ইন্টেরিম সরকারের কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করব।”
বর্তমানে শাহবাগ চত্বর ক্রমেই রূপ নিচ্ছে সরকারের প্রতি জনগণের চাপ প্রয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে। অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, ‘এটা কোনো দলের আন্দোলন নয়, এটা জনগণের পক্ষের লড়াই।’
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :