AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:৪০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

আসন্ন ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে যে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য রাষ্ট্র ও মালিকদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশে ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন তৈরি পোশাক ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রম আইন সংশোধনসহ রপ্তানিমুখী এই শিল্পকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু মালিক ও রাষ্ট্র শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে আসছে। ফলে আজকে পোশাক শিল্পের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ক্রমে অর্ডার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। যারা পোশাক নিচ্ছে তারাও নানা শর্ত দিচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের জীবনে অনিশ্চিয়তা দেখা দিচ্ছে। আগামী দিনে এই বিশাল সংখ্যক শ্রমিকের রুটি-রুজি কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।  

নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমজীবী মানুষের জীবনে উৎসব হাতে গোনা কয়েক দিন। এদেশের শ্রমিকদের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা যে নামমাত্র বোনাস পেয়ে থাকেন তা দিয়ে পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন কাপড় ও একটু ভালো খাবারের আয়োজন করে থাকে। আজকে দেশের প্রধান প্রধান পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সৃষ্ট হওয়া অনিশ্চিয়তা’ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদে পুলিশ ও মালিকরা প্রায় ৫ শতাধিক কারখানাকে চিহ্নিত করেছে যারা এই ঈদে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। শিল্প পুলিশ আশঙ্কা করছে, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে গড়িমসি করা হলে শ্রমিকরা রাজপথে নেমে আসবে। এবং সেক্ষেত্রে পবিত্র মাহে রামাদ্বানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

তারা বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করতে পুলিশ ও রাষ্ট্র কী ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রের ইশারায় প্রতিটি আন্দোলনে কোথাও না কোথাও শ্রমিক লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে। এবারও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শ্রমিকদের রক্ত ও লাশ দেখতে চাই না। আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা মালিক ও সরকারের প্রতি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধের জন্য এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!