AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিসিকের নির্বাচন ঘিরে সিলেটে আওয়ামী লীগের বিরোধ প্রকাশ্যে


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,সিলেট
০৫:২৪ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
সিসিকের নির্বাচন ঘিরে সিলেটে আওয়ামী লীগের বিরোধ প্রকাশ্যে

সিসিকের নির্বাচন ঘিরে সিলেটে আওয়ামী লীগের বিরোধ প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছে। আগামী জুন মাসে সিলেট সিটি নির্বাচন পুরাতন মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবং চলতি অক্টোবর মাসে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতক্ষনিয়ে আসছে মাঠে নামছেন নতুন নতুন মুখ। প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা মাঠ ঘুছানোর ব্যস্ত রয়েছে। এখন থেকে নতুন নতুন মুখ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

এদিকে সিসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে নগর আওয়ামী লীগে এক ধরনের টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে দ্বন্দ্ব ভেতরে থাকলেও এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে নানা বিরোধ। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা।

 

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম  চৌধুরী নাদেলের বক্তব্যের পর এটি প্রকাশ্যে আসে। তিনি বক্তৃতায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানকে আগামী সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এরপর শুরু হয় তোলপাড়।

 

এরই মধ্যে নাদেলের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। আর এই মন্তব্য ও বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

বিবৃতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোয়ন নিয়ে দলীয় প্রধানের এমন কোনো নির্দেশনা মহানগরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা পাননি বলে দাবি করেন। দলীয় প্রার্থী নিয়ে তারা নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান।

 

বিবৃতিতে তারা জানান, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একটি ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সিসিক মেয়র পদে নির্বাচনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা’র বরাত দিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা মহানগর আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

 

এ বিষয়ে দুই নেতা ‘সুস্পষ্ট ভাবে’ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হিসেবে তারা পাননি। অতএব ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগরের শৃঙ্খলাসহ দলীয় ভাবমূর্তি যাতে বিনষ্ট না হয় এবং বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ানো হয় সে জন্যে তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

 

বিবৃতির বিষয়ে যোগাযোগ করলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, তারা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) যে অভিযোগ এনে বিবৃতি দিয়েছেন, এমন কোনো শব্দ আমার বক্তব্যে ছিলো না। সিলেটে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আমি কোনো বক্তব্যই রাখিনি। আমি বলেছি, আনোয়ারুজ্জামান বন্যা, করোনাসহ মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলেন এবং নেত্রী তাকে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ তারা কেন এমন বিবৃতি দিলেন, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

দলীয় একটি সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাকে ‘গ্রীণ সিগনাল’ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও দেখা করেছেন তিনি। এ সময় সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও তাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলে দাবি আনোয়ারুজ্জামানের।

 

এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, এসব (প্রার্থিতা) বিষয়ে দলীয় কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। এখানে আমিসহ আরো কয়েক জন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছি। সবাই কাজ করছি। তিনি (আনোয়ারুজ্জামান) নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দল যাকে প্রার্থী করবে, তার পক্ষেই আমরা সবাই কাজ করব।

 

জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দও থেকে ওই দিন হাজারো কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে তাকে নগরীতে নিয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েক জন নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী এবং সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান অন্যতম। পরে আনোয়ারুজ্জামান দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও দেখা করেন। এরপর থেকেই জোরেশোরে আলোচনায় আসে তার নাম।

 

একুশে সংবাদ/আ.কা.রু.প্রতি/এসএপি

Link copied!