আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী, সকল বিভাগে, এক যোগে আটটি কেন্দ্রে বাংলাদেশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সমিতির "কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়নের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে চান ঢাকা বিভাগের ভোটারগন। সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এই নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার। ইশতেহার বাস্তবায়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ প্রার্থীরা।
শনিবার (১৫ই নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে আটটি বিভাগে মোট ৪৮৫ জন ভোটার। এতে ঢাকা বিভাগে ১৭৬ জন ভোটার। নির্বাচনে মোট ৪০ টি পদের বিপরীতে ৩২ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীগন।
আটটি পদের বিপরীতে মোট ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে ৪ জন, যুগ্ম সম্পাদক পদে ৪ জন, অর্থ সম্পাদক পদে ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন এবং সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বতা করছেন।
নির্বাচনের সহ-সভাপতি পদে মোঃ জিন্দার আলী, কে, এম, নজরুল ইসলাম, মোঃ কামরুজ্জামান, আয়শা সিদ্দিকা, মোঃ আশরাফুজ্জামান, মুহাম্মাদ নিয়াজ মোর্শেদ, মোঃ মোস্তফা কামাল এবং মোঃ আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে জি. এম. সাইফুল ইসলাম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ রাশেদ খান ও রেফাউল আজম, যুগ্ম সম্পাদক পদে পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মহসিন-উল-হাসান ও জাকারিয়া আলম, অর্থ সম্পাদক পদে সেঃ মোস্তফা মাইদুল মোর্শেদ মুরাদ ও স্বপন মাতুব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ আরিফুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ও মোঃ রাকিবুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে মোঃ আবু বাশির ও মোঃ সালাউদ্দিন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একাধিক প্রার্থী একুশে সংবাদকে বলেন, ২০১২ সালের পর আমাদের নির্বাচন হয় নি, এই প্রথম গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠ একটি নির্বাচন পরিচালনা করছেন নির্বাচন কমিশনার। কয়েকটি পদ ছাড়া সকল পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। জয়ী হলে তাদের সাথে এক হয়ে সকলকে নিয়ে এই বাংলাদেশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করব। আমরা প্রার্থীরা ভাই ভাই। কোন ধরনের অভিযোগ নেই।
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত একাধিক ভোটার বলেন, আজকে আমাদের মিলন মেলা। সবার সাথে দেখা হচ্ছে খুবই ভালো লাগছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের আপনজন। সকল পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও কয়েকটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই বাংলাদেশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারদের উন্নয়নে কাজ করবে। সমিতির সকল সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে প্রার্থীরা। কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি। সকল পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীগন। আটটি পদে, পঁচিশ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সবাই একে অপরের প্রতি আন্তরিক। কোন বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই। যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটন রোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সকল বিভাগে আটটি কেন্দ্রে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি ডিজিটাল পদ্ধতিতে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন মনিটরিং করছি। আশাকরি প্রার্থীরা নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন মেনে এই নির্বাচন সম্পন্ন করবে। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ জাহিদ হাসান ও মোঃ জালাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
