জুলাইয়ের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, বরং তা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি সার্বজনীন প্রতিবাদ—এমন মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার ভাষ্যে, এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুনরায় নিজের সার্বভৌমত্ব ফিরে পেয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্ট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ফারুকী বলেন, “জুলাই হচ্ছে বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরিত এক চেতনার নাম, প্রতিবাদের এক নির্ভীক ভাষা। এই মাসের অভ্যুত্থান আমাদের জাতিকে নতুনভাবে নিজের অধিকার ও মর্যাদা ফিরে পাওয়ার পথ দেখিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ে তরুণ প্রজন্ম এ দেশের রক্তস্নাত মাটিতে মুক্তির বীজ রোপণ করেছে। তারা দেখিয়েছে যে, যখন জীবন হয়ে ওঠে প্রতিরোধের সমার্থক, তখন মৃত্যুই শেষ কথা হতে পারে না।”
ফারুকীর ভাষ্য, “মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু—এই সাহসী সংকল্প নিয়েই আমাদের তরুণরা গড়ে তুলেছে এক অবিনাশী কাব্য, যার নাম জুলাই। এই অধ্যায় আমাদের ইতিহাসে অনুপ্রেরণার এক নতুন সংযোজন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশজ সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলেছিল বহুদিন। কিন্তু সেই চাপিয়ে দেওয়া হেজিমনির দেয়াল ভেঙে এখন আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নতুন বিকাশ ঘটছে। এই রূপান্তরের ধারাকে টিকিয়ে রাখতে দেশের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
জুলাই জাগরণ কালচারাল ফেস্টে জুলাইয়ের আন্দোলন, সংগ্রাম ও ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে নাটক, সংগীত ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
একুশে সংবাদ/এ.জে