মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “এই পর্যন্ত আমাদের ইনস্টিটিউটে আনা ১১ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ৮ জন রোগী গুরুতর অবস্থায় (ক্রিটিকাল ইউনিটে) আছেন। এছাড়া ১৩ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট কেস হিসেবে চিকিৎসাধীন আছেন।” সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে তিনি জানান।
চিকিৎসা পরিস্থিতি সম্পর্কে ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং রক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও নেয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের বার্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা প্রটোকল শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে থেকে কিছু পরামর্শও পাওয়া গেছে, যেগুলো চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি চিকিৎসকরাও চিকিৎসা সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ডা. নাসির বলেন, “আমরা আমাদের চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ীই কাজ করছি। তবে যেকোনো কার্যকর পরামর্শকেই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।”
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট ৩২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে