রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গোটা জাতি শোকে স্তব্ধ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এত প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার নজির বাংলাদেশে আর দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে আহতদের জরুরি চিকিৎসা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ-এর সাবেক সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান পাভেল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “উত্তরার এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। অগণিত শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ও দেড় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার সংবাদে আমি বাকরুদ্ধ। এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়—একটি জাতিগত ট্র্যাজেডি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে মানুষ এই শোক সইতে হিমশিম খাচ্ছে। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আল্লাহ যেন নিহতদের শহীদের মর্যাদা দেন, জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন এবং পরিবারগুলোকে এই শোক বইবার শক্তি ও ধৈর্য দান করেন।”
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “এই দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। আমাদের এখনই সচেতন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আর না ঘটে। মানুষের জীবন ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সাদিকুর রহমান পাভেল। তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন—এই অপূরণীয় ক্ষতি কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করেন, যেন আল্লাহ তাআলা নিহতদের শহীদের মর্যাদা দান করেন, জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম নসিব করেন এবং শোকাহত পরিবারগুলোকে এই কঠিন সময় পার করার জন্য অফুরন্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার শক্তি দান করেন।
এই দুর্ঘটনা আমাদের চোখে আবারও স্মরণ করিয়ে দিল—জীবন কতটা অনিশ্চিত এবং মূল্যবান। নিছক একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অগণিত স্বপ্ন থমকে গেছে। আজ আমরা সবাই শোকাহত, কিন্তু এই শোক যেন আমাদের আরও মানবিক করে তোলে। আসুন, আমরা যেন শুধু শোক প্রকাশেই থেমে না যাই—বরং যেন শিখি, সচেতন হই এবং একসাথে এমন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই, যেখানে প্রতিটি জীবন সুরক্ষিত থাকবে, প্রতিটি ভবন হবে নিরাপদ, এবং প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা থাকবে রাষ্ট্রের প্রধান অগ্রাধিকার।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে