উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বলা হয়, দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত প্রত্যেকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কারও তথ্য গোপন করার কোনো প্রশ্নই আসে না। নিহতদের প্রত্যেকের পরিচয় নিশ্চিত করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
পোস্টে আরও জানানো হয়, অশনাক্ত মরদেহগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং বলছে, কিছু মহল হতাহতের সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশে সরকার, সেনাবাহিনী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল একযোগে কাজ করছে। যাদের কোনো স্বজন নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রি খাতা ও অন্যান্য নথি থেকে নিখোঁজের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও একজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। এছাড়া আহত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বার্ন ইউনিটে দুইজন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে