পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার পেছনে চাঁদাবাজি নয়, বরং ব্যবসায়িক বিরোধ কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত সোহাগ ও অভিযুক্তদের মধ্যে আগে থেকেই ভাঙারি ব্যবসা নিয়ে সম্পর্ক ছিল। দোকানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে—এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সোহাগ এবং অভিযুক্তদের মধ্যে কিছুদিন একসঙ্গে ব্যবসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেন ও ব্যবসায়িক কর্তৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর জের ধরেই সংঘর্ষ এবং হত্যাকাণ্ড।
ডিসি জসীম উদ্দিন জানান, বুধবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একদল লোক সোহাগকে ঘিরে ফেলে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের বড় বোন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবও অভিযান চালিয়ে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মো. টিটন গাজী (৩২)-কে আটক করে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে একটি বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি জড়িতদেরও চিহ্নিত করে ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে