AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:২৭ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৫

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলন

সচিবালয় এলাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরেই এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

গত ২৫ মে সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫। এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে অধ্যাদেশটির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। গেজেট প্রকাশের পর থেকেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সচিবালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঈদের আগেই ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীর দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ব্যতীত একাধিক উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্য উল্লেখ করে অধ্যাদেশে চারটি অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যার কারণে কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে। অপরাধগুলো হলো—

১. অনানুগত্যমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বা অন্যদের মধ্যে অনানুগত্যে প্ররোচিত করা।
২. ছুটি ছাড়া বা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কাজে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব থেকে বিরত থাকা।
৩. অন্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে উসকানি দেওয়া।
৪. দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া যাবে। অভিযোগ গঠনের সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে পুনরায় সাত দিনের মধ্যে শাস্তির বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হবে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই অধ্যাদেশ গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী এবং কর্মচারীদের মতপ্রকাশ ও আন্দোলনের অধিকারকে রুদ্ধ করতে প্রণীত। তাঁদের মতে, চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে অধিকারহীন করে রাখার কৌশল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হবে।

তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এবং বলেছেন, দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ স.ট/এ.জে

Link copied!