চার দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন থেকে ঢাকার ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে রওনা হন। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় এ সফরকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং পাঁচটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন। সেগুলো হলো:
১. ব্রিটিশ রাজসভার স্বীকৃতি:
রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে সম্মানজনক পুরস্কার গ্রহণ এবং তাঁর সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে বিবেচিত হয়েছে।
২. ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সংলাপ:
প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির শীর্ষ নেতার মধ্যে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপকে অনেকে ঐতিহাসিক বলছেন। এটি দেশের রাজনৈতিক সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩. জব্দকৃত দুর্নীতির সম্পদ:
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) সাবেক এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। এনসিএ জানিয়েছে, এটি তাদের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জব্দ অভিযান। এই অর্জন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
৪. আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন:
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্রিটিশ সমকক্ষদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠক আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধারে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ সুগম করেছে।
৫. রোহিঙ্গা সংকটে নতুন সম্ভাবনা:
সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়, যা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদারে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১০ জুন সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন পৌঁছান ড. ইউনূস। সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে