২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শাসকদের পলায়নকে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এই বিজয় পূর্ণতা পেতে এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক শক্তি, নাগরিক সমাজ ও জনগণের সম্মিলিত অগ্রযাত্রা।
ঢাকার সংসদ ভবনের এলডি হলে সোমবার (১২ মে) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আলোচনা সভায় আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছরে দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে বারবার রাস্তায় নেমেছে। এখনো সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি বলেই তারা লড়াই করছে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই কমিশনের দায়িত্ব কেবল ঐক্য প্রতিষ্ঠা নয়, বরং রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠন করা।” এ সময় তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি “ইতিহাসের মোড়” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার পর এ রকম সুযোগ আর আসেনি, তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এখনই সময়।”
আলোচনায় কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সদস্য সফর রাজ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার ।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন—কমরেড হারুন চৌধুরী (বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-এমএল),কমরেড আলি হোসেন (সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি), হারুন আল রশীদ খান (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল - পিডিপি), কমরেড ডা. সামছুল আলম (সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি), এছাড়া আরও ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সারমর্মে উঠে আসে—গণতন্ত্রকে কেবল একটি আদর্শ হিসেবে নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য কাঠামো হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :