লিবিয়ায় বিভিন্ন কারণে আটকে পড়া ১৭৬ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় বুধবার তারা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
প্রত্যাবাসিতদের বহনকারী বুরাক এয়ারের ফ্লাইটটি ভোর ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে।
প্রত্যাবাসিতদের মধ্যে ১০৬ জন ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। বাকি ৭০ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরছেন। এদের মধ্যে ১২ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ।
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল ত্রিপলীতে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রত্যাবাসিতদের তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিতদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
একইসঙ্গে তিনি তাদেরকে দেশে ফিরে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক, বিপদগ্রস্ত এবং পাচারের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম লিবিয়ার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ১৮৩ জন বাংলাদেশি দেশে প্রত্যাবাসিত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
