বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাতে গিয়ে তোপের মুখে পড়লে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শনিবার (১১ মে) কনজুমার অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি সম্মেলন ও ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ বিষয়ক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম মূল্য ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার, অভিযান আর জরিমানা করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা করতে গিয়ে নানা সময়ে তোপের মুখে পড়ার কথা জানান ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক।
মহাপরিচালক বলেন, যখন পুরানো ঢাকায় কসমেটিক নকল হচ্ছে, যে কসমেটিক মুখে দিলে ত্বক পুড়ে যায়; সেখানে তথ্য নিয়ে অভিযান করলাম ৫০০ লোক আমাদের কর্মকর্তাদের ঘেরাও করেছে। এই যে ঘেরাও করলো, কোই আপনারাতো সেখানে দাঁড়াননি।
টিসিবি মিলনায়তনে ক্যাব আয়োজিত এই সেমিনারে উঠে আসে ভোক্তা অধিকার সংগঠক ও ক্যাবকে শক্তিশালী করার নানা দিক। এ সময় জেলা-উপজেলা থেকে আসা ক্যাব সদস্যরা জানান তাদের নিজেদের এলাকার তাদের অর্জন ও সীমাবদ্ধতার কথার কথা।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকারের কর্মীদের সবসময় অরাজনৈতিক থেকে ভোক্তার পক্ষে এবং ভোক্তার জন্য কাজ করতে হবে।
ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জামিল চৌধুরী বলেন, আমরা ক্যাবকে যদি আমাদের অধিকার নিয়ে শক্তিশালী করতে পারি। ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন করতে না পারি তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ করা সম্ভব নয়।
আলোচনায় ডলারের নতুন দাম নির্ধারনের ফলে নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজারে যে নতুন প্রভাব পরতে যাচ্ছে তা কতটুকু যৌক্তিক এবং কোন অসাধু সংগঠন যাতে এর সুবিধা নিয়ে না পারে সেদিকে সজার দৃষ্টির কথা বলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিটি সিদ্ধান্ত কোন না কোন ভাবে ভোক্তাদের প্রভাবিত করে। কিন্তু ভোক্তার দৃষ্টিকোণ সরকারি সিদ্ধান্তে প্রতিফলন করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ নেই। এজন্য আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে বেশকিছু দিন ধরে বলে আসছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগ হোক। একটি কনজুমার’স অ্যাফেয়ার্স আরেকটি বিজনেস অ্যাফেয়ার্স।
হঠাৎ করে ডিম ও মুরগীর দাম কেন বেড়ে যাচ্ছে তা নজরদারি করতে সবার প্রতি আহবান জানান ক্যাবের সভপাতি।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

