কিশোরগঞ্জ শহরের ফুটপাত, ওয়াকওয়ে, নদীর জায়গা—সবই এখন দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। শহরের গৌরাঙ্গবাজার ব্রিজের দুই পাশে, বড়বাজার, মুক্তমঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ দোকান, টং, ভ্যানগাড়ি ও স্থায়ী স্থাপনা। শহরের সৌন্দর্য প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নীরব। শহরের যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবেও ফুটপাতে অবৈধ দোকান ও ভ্যানগাড়িকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দখল বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। যেখানে আগে মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারত, এখন সেই পথ দোকান আর মালামালে ভরপুর। নদীপাড়ের খোলা বাতাসের জায়গাটিও দখল হয়ে গেছে।
পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আগে নদীর ধারে হেঁটে যাওয়া যেত, এখন দোকান আর ভ্যানগাড়িতে জায়গা নেই। ফুটপাত মানেই এখন বাজার। ওয়াকওয়ে আগে সুন্দর ছিল, এখন সব জায়গা দখল হয়ে গেছে।”
এক স্থানীয় দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আমরা প্রতিদিন জায়গার ভাড়া দিচ্ছি। প্রশাসন কিছু বলে না। পেটের দায়ে আমরা রাস্তায় ব্যবসা করি। সরকার কোনো ব্যবস্থা নিলে হয়তো এভাবে ফুটপাত দখল হতো না।”
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, “৫ আগস্টের আগে এক দলের লোকেরা দখল করে ছিল, এখন সরকার বদলে অন্য দলের লোকেরা দখল করছে। দখলদার বদল হয়েছে, কিন্তু দখল বন্ধ হয়নি। প্রশাসন চোখ বুজে আছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, “ফুটপাত, ওয়াকওয়ে ও নদীর জায়গা সরকারি সম্পত্তি। এগুলো কেউ দখল করতে পারে না। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুতই অভিযান চালানো হবে, প্রয়োজনে উচ্ছেদ কার্যক্রমও শুরু হবে।”
শহরের সচেতন নাগরিকদের মতে, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কিশোরগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য, খোলা বাতাস ও পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল—সবই হারিয়ে যাবে দখলদারদের দখলে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

