রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেকের মরদেহ সৎকারে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন, তাদের সৎকারের জন্য আমরা আপাতত ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। যারা আহত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এদের পুনর্বাসনসহ যে সমস্ত সুবিধা দেওয়া দরকার, আমরা তার ব্যবস্থা করব। আপাতত আমরা উদ্ধার অভিযান ও আহতদের চিকিৎসার দিকটা দেখছি। এরপর আমরা নিহতদের ক্ষতিপূরণের দিকটা দেখব।
ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে রোল মডেল। সুতরাং আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছি।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।
ভয়াবহ ওই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় সবাইকে। হাসপাতালের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে লাশের সারি আর শোকের আবহে।
ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এর মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন, মোট ১২ জন। আমাদের এখানে যারা আছে, সবাই দগ্ধ এবং তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।”
একুশে সংবাদ/ব.ন.প্র/জাহা
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
