গণপরিবহনের যন্ত্রণা ছাপিয়ে অবশেষে রাজধানীবাসীর দীর্ঘপ্রতিক্ষার আরাধ্য স্বপ্ন মেট্রোরেল চালু হয়েছে। পা দিয়েছে মেট্রোরেলের যুগে। আধুনিক এই পরিবহনকে ঘিরে যেন মানুষের উচ্ছ্বাসেরও কমতি নেই। উদ্ধোধনী দিনে মেট্রোরেল শুরুর স্টেশন উত্তরা দিয়াবাড়িতে তাই ভীড় জমে কৌতুহলী জনতার।
মেট্রোতে চড়ার উচ্ছাস যেমন ছিলো তাদের চোখেমুখে তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতেও ভুলেননি তারা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধোধনের মধ্যদিয়ে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত হলো এই আধুনিক গণপরিবহন। যেখানে দ্রুত ও নিরাপদে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।
দিয়াবাড়িতে উত্তরা উত্তর স্টেশনের পাশেই সবজি বিক্রি করেন জামাল মিয়ার উচ্ছ্বাসের কমতি ছিলো না মেট্রোতে চড়ার। সেই সাথে দিয়াবাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী সবার কন্ঠে একই কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে স্বপ্নের মেট্রোরেল বাস্তবায়ন অধরাই থেকে যেতো।
মেট্রোরেলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আসা মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদসহ উচ্ছ্বসিত সকল শ্রেনী পেশার মানুষেরা বিস্ময় কন্ঠে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মেট্রোরেল চালুর ফলে লাঘব হবে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ। পরিবহন খাতে যা অবিস্মরনীয় এক মাইলফলক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন দেশের উচ্ছসিত মানুষ যেভাবে বাধা ডিঙিয়ে সেতুতে উঠেছিল, সেরকম পরিস্থিতি যাতে মেট্রোরেল চালুর পর না হয় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে ঢাকাবাসীকেই। একই সাথে পরিবেশের ক্ষতি না করে সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণ করতে হবে মেট্রোরেলের সুফল।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই স্বপ্নের স্থাপনার উদ্বোধন করেন তিনি।
একুশে সংবাদ.কম/স.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :