AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিলীন হয়ে যাচ্ছ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি


Ekushey Sangbad
উপজেলা প্রতিনিধি
০৪:৩৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২
বিলীন হয়ে যাচ্ছ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি

ছবি: একুশে সংবাদ

রামগঞ্জ প্রতিনিধি: আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে বতর্মানে আহবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কুপি বাতি শুধুই এখন স্মৃতি, কালের বির্বতনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, চার্জার ল্যাম্প, চার্জার লাইটসহ আরো অনেক কিছুই। গ্রামীণ জীবনে অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল কুপি বাতি। আবহমান গ্রামবাংলায় কুপি বাতির মত ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হযে যাচ্ছে। 


রামগঞ্জ উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এর কদর নেই বললেই চলে। এক সময় আবহমান গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই কুপি বাতি আলো দিত। যা এখন খুব কমই চোখে পড়ে। কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারি রঙের। এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরি গাছা অথবা স্টান্ডের উপর রাখা হত। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপি বাতির কদর যেন হারিয়ে গেছে। আগের দিনে কুপিবাতি জ্বালিয়ে রাতে গৃহস্থালির কাজ করত গৃহিণীরা, রাস্তায় চলাচলসহ উঠানে কিংবা বারান্দায় অথবা ঘরে পড়াশোনা করত ছেলেমেয়েরা, পুথি পাঠ, কেচ্ছা কাহিনির নানা গল্প হতো। 


কুপি বাতির কেরোসিন তেল আনার জন্য প্রতিটি বাড়িতেই ছিল বিশেষ ধরনের কাচের ও প্লাস্টিকের বোতল। সেই বোতলের গলায় রশি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো বাঁশের খুটিতে।এই কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বিভিন্ন রঙের। এগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী কুপি বাতি ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কুপি বাতি পাওয়া যেত। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরী গাছা অথবা স্টান্ডের উপর রাখা হত। এই গাছা অথবা স্টান্ডগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের। বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপিবাতির কদর যেন হারিয়ে গেছে। 

গ্রামীণ সমাজের সন্ধ্যা বাতি ‘কুপি বাতি’ এখন সোনালী অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রামবাংলার মানুষ ব্যবহার করছে সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন রকমের চার্জার। গ্রাম বাংলার আপামর লোকের কাছে কুপি বাতির কদর কমে গেলেও এখনও অনেকে আকড়ে ধরে আছেন কুপি বাতির স্মৃতি।

 
রামগঞ্জ  উপজেলাতে এর কদর দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে জাদুঘরে এর স্থান দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সুশীল সমাজ। আধুনিক বৈদ্যুতিক যুগে বর্তমানে আবহমান গ্রাম বাংলার এক সময়ের কুপিবাতি এখন শুধুই স্মৃতি। মাত্র ৮/১০ বছর আগেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় কুপিবাতি আজ বিলুপ্তির পথে।


এবিষয়ে সাধারন মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আধুনিক বৈদ্যুতিক যুগে বর্তমানে কুপিবাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট, মোবাইল লাইটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বাহারী যন্ত্র। ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটি। তবে সময়ের পরিবর্তনে এসব আর চোখে পড়ে না। ফলে এমন সময় আসবে যখন ভবিষৎ প্রজন্মদের কুপিবাতি চেনানোর জন্য জাদু ঘরে নিয়ে যেতে হবে। 

তারা আরোও বলেন, গ্রামের অধিকাংশ লোকের কাছে কুপিবাতির কদর হারিয়ে গেলেও এখনও অনেক লোক আছে যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপরি সেই স্মৃতি। গ্রামের সৌখিন গৃহস্ত বাড়ি ও অনেকে নিন্ম আয়ের মানুষ স্বযত্নে ত্কুপিবাতি সংরক্ষন করে রেখেছেন নিদর্শন হিসেবে।

একুশে সংবাদ/ছায়েদ হোসেন/এইচ আই

Link copied!