ধর্ষণ মামলায় রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন কারাগারে প্রেরণ করেছে রাঙ্গামাটি দায়রা ও জজ আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাঙ্গামাটির নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের বিচারক নুরুল ইসলামের আদালতে আত্মসর্মপন করতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৪ জুন ভুক্তভোগী নারী বরকল থানায় অভিযক্ত মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত থেকে সমন জারি হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন বরকলের ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ।
কিন্তু উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করতে বললেও অভিযুক্ত চেয়ারনম্যান আত্মগোপন ছিলেন। মামলাটির অভিযোগ গঠন হয়, রাঙ্গামাটির আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন তিনি।
এরপর মামলায় গত বছর ২১ অক্টোবর রাঙ্গামাটির আদালতে হাজিরার আদেশ ছিল। কিন্তু পরে আদালতে আর হাজির হননি।
মঙ্গলবার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাৎক্ষণিক আদালত থেকে গ্রেফতার করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ছাড়াও মারামারি, দুর্নীতি, বন মামলাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে । এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত বছর ৫ জুলাই তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সাম্সের নির্দেশে সরাসরি দল থেকে বহিস্কার করা হয়। তার আগে বরকল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন মামুন।
মামলার বাদী ও একই ইউনিয়নের ছোট হরিণার বাসিন্দা মো. নাছির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিয়ে ও চাকরির প্রলোভনে মামুন চেয়ারম্যান আমার মেয়ের (২০) সর্বনাশ করেছে। উপযুক্ত বিচারের জন্য সর্বশেষ নিজে বাদী হয়ে বরকল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছি।



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

