জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের দণ্ড বাতিলের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি মামলার এক আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেওয়ায় তার আইনজীবী সময় চান। এর পর আদালত আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।
আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, মামলাটি বিচারের সময় সংবিধান ও আইনের সঠিক প্রয়োগ করা হয়নি। তারা দাবি করেন, মামলাটি আইনগতভাবে দুর্বল, সাক্ষ্য-প্রমাণহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
তার আগে, ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতেও নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গেল ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :