রাশিয়ার জ্বালানি খাতের দুটি বড় কোম্পানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২২ অক্টোবর) ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার “গড়িমসি ও অনীহা”র কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই দিনে মস্কো বড় আকারের পারমাণবিক মহড়া পরিচালনা করেছে, যা পশ্চিমা বিশ্বে নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকয়েল। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়নের সক্ষমতা দুর্বল করা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত হওয়ার পরদিনই এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “এখনই যুদ্ধ বন্ধ করার এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময়।” তিনি আরও বলেন, “রোসনেফট ও লুকয়েল—এই দুটি কোম্পানি ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রে অর্থ জোগায়। পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।”
রয়টার্স জানিয়েছে, স্কট বেসেন্টের মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ২ ডলার বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একুশে সংবাদ/এ.জে